December 22, 2024, 4:10 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চুয়াডাঙ্গায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি বিভাগীয় সীড স্টোর ভেঙে দিয়েছে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে শাহাপুর ও ভুলটিয়া বøকের এ বিভাগীয় সীড স্টোরটি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় বুধবার রাতে সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ভাঙচুরের ঘটনার সাধে স্থানীয় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী আহমেদ হাসানুজ্জামানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করা হয়েছে। সরকারী এ অফিসটি ঐ ইউপির সামনেই অবস্থিত।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর জানান, বুধবার সকালে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন রাতে কে বা কারা স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভবনটি।
তিনি জানান ভান্ডার ভবনের প্রায় ৯০ শতাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মিললে বিষয়টি কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভাঙচুরের ফলে সরকারি এই কার্যালয়ের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
তিনি জানান বাজারের কাছে হওয়ায় ওই জমির দাম বেশি। প্রায় ৮/১০ কোটি টাকা। একটি প্রভাবশালী মহল জমি দখল করে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন তৈরির জন্য বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে।
এদিকে, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে এই ভাঙচুরের সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ হাসানুজ্জামানের সংশ্লিষ্টতার খবর পাওয়া গেলে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। ভাঙচুরের সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ওটি এতই পুরাতন ছিল রাতে ভেঙে পড়ে গেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
তিনি জানান ওই ভবনের জমি তার ইউপির। একজন সাবেক চেয়ারম্যান কৃষি বিভাগকে দান করেছিলেন। কৃষি বিভাগ যদি দানকৃত জমি সঠিকভাবে ব্যবহার না করে তাহলে জমির মালিকানা অবশ্যই ইউনিয়ন পরিষদ ফিরে পাবে।
চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৬০ সালে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের জমি থেকে ৫০ শতাংশ জমি শস্যবীজ ভান্ডার তৈরির জন্য কৃষি বিভাগকে দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল, শস্যভান্ডার হলে কৃষি বিভাগ জমি পাবে, নাহলে পরিষদকে ফেরত দেবে। দীর্ঘদিনেও সেখানে শস্যভান্ডার হয়নি।
তিি বলেন ঐ জমি ফেরত পেতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply